কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তেরখাদা উপজেলায় গরু চুরি হচ্ছে। ঈদুল ফিতরের পর থেকে গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চুরি বেড়েছে। ফলে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন কৃষক ও খামারিরা।
খামারিরা জানান, কিছুদিন ধরে গরু চুরির ঘটনা ঘটছে। কোরবানি ঈদ সামনে রেখে চোরের দল প্রায়ই রাতে কোনো না কোনো বাড়িতে হানা দিচ্ছে।
তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, গত শুক্রবার গোপন খবরে জানতে পারি উপজেলার জুনারী গ্রামস্থ খাঁন বাবর আলীর বাড়ীতে রাখা হয়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি করে আনা গরু। এমন খবরে সেদিন রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে খাঁন বাবর আলীর গোয়াল ঘর থেকে ৫টি চোরাই গরু উদ্ধার হয়। উদ্ধার হওয়া গরু থানা হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত মালিকের কাছে গরুগুলো হস্তান্তর করা হবে।
তিনি বলেন, অভিযানের সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির মালিক খাঁন বাবর আলী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় খান বাবর আলী সহ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে তিনি আরো বলেন, বাবর আলীর নেতৃত্বে একটি চক্র চোরাই গরুগুলো জবাই করে মাংস অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করেন এবং লাখ-লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। মঙ্গলবার (২৭ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার এগারআমতলা (হিজলতলা) এলাকার কবির শেখের বাড়ির গোয়ালঘর থেকে তিনটি গাভী এবং একই এলাকার বিল্লাল মোল্যার দুইটি গাভী চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল।
গরুর মালিক কবির শেখ বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো রাতে গোয়ালঘরে গরুগুলোকে খাবার দিয়ে দরজা বন্ধ করে চলে যাই। গভীর রাতে চোরের দল আমাদের ঘরের দরজায় বাহির থেকে ছিটকিনি আটকে রেখে গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে ট্রাকে করে পালিয়ে যায়। বিষয়টি থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে অবহিত করলে তিনি আজগড়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসিকে ঘটনাস্থলে পাঠায়।
এর আগে উপজেলার বলরধনা এলাকার রবিউল শেখের গোয়ালঘর থেকে একটি গাভী চুরি হয়। একই রাতে এলাকার অশোক মল্লিকের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করার সময় বাড়ির মালিক চোরের উপস্থিতি টের পেলে চোরের দল পালিয়ে যায়। এদিকে তেরখাদা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায়ই গরু চুরির ঘটনা ঘটছে বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়।
স্থানীয়রা বলেন, রোজার ঈদের পর থেকেই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরু চোরদের তৎপরতা বেড়েছে। এলাকাবাসী পুলিশ প্রশাসনকে চোরের সিন্ডিকেটদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএনএস